অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য যা করা যেতে পারে:
- বধির বা শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আগুন লাগলে সতর্ক করা নিশ্চিত করতে অগ্নি ঘন্টা বাজানো কিংবা ধুয়া শনাক্তকরণ যন্ত্র কোন ভূমিকা পালন করবে না তাই অন্যদের জন্য উল্লেখিত ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি বধির বা শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য ফ্ল্যাশলাইট জ্বলার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং রাতে আগুন লাগলে তাদের ঘুমানোর বিছানাতে যাতে দুলুনি তৈরি হয় সেটার জন্য যে যন্ত্র পাওয়া যায় সেই যন্ত্র তাদের তোষক বা বিছানাতে রাখা নিশ্চিত করতে হবে।
- আগুন লাগলে করণীয় নিয়ে যে মহড়া যাকে আমরা ফায়ার ড্রিল বলি সেই মহড়াতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রবীণ ব্যক্তি এবং অপসারণে সাহায্যের দরকার হয় এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এতে সহায়তাকারী, পরিচর্যাকারী, পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী, সহকর্মী এবং অন্যান্যদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
- কমিউনিটি, অফিস কিংবা পরিবারের প্রতিটি সদস্য যেন আগুন লাগলে কী করতে হবে সেটা জানে এবং তাদের প্রত্যেকের কাছে যেন জরুরি পরিস্থিতিতে যোগাযোগের ফোন নাম্বার থাকে।
- যারা চলন প্রতিবন্ধী কিংবা যাদের শারীরিক প্রতিবন্ধিতা রয়েছে তারা যেন এমন স্থানে অবস্থান করে যেখান থেকে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুততার সাথে বের হয়ে আসতে পারবে (অর্থাত্ নিচ তলায়, দরজার নিকটে কিংবা সিড়ির কাছে)।
- অপসারণ বা জরুরি পরিস্থিতি বের হয়ে যাওয়ার পথ বাধামুক্ত রাখুন যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে চলাচলে কোন সমস্যা না হয়।
- বনে দাবানল তৈরি হলে (বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে দাবানলের ঘটনা তেমন একটা ঘটে না), সরকারের দিক থেকে ঘোষণা দেয়া হয়। এই ধরনের সতর্কতা বার্তা যাতে সকল ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিকট পৌঁছাতে পারে সে লক্ষ্যে একই বার্তা বিভিন্ন ফরমেটে দিতে হবে — ছবি, শব্দ, লেখা ইত্যাদিভাবে।
(আরো তথ্যের জন্য দেখুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক অপসারণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা।)