দুর্যোগ চলাকালীন এবং দুর্যোগের পরপর কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যমে প্রথম সাড়াদানকারী, সহায়তা ব্যবস্থা এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্প্রদায় বা এলাকার মানুষের এবং দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলে।
দুর্যোগের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক যোগাযোগের জন্য যা করতে হবে:
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রবীণ ব্যক্তি এবং দীর্ঘকাল ধরে অসুস্থ ব্যক্তি যারা বাড়ি ছেড়ে যেতে পারেন না তাদেরকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবীরা বাড়ি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় তথ্য জানাবেন।
- স্থানীয় প্রতিনিধিত্বশীল সংস্থাগুলো যেমন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন, প্রবীণ ব্যক্তিদের সংগঠন কিংবা নারীদের সংগঠনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে।
- যদি মেগাফোন কিংবা লাউডস্পিকার ব্যবহার করেন, তাহলে সবাই যাতে শুনতে পায় কিংবা প্রচারিত বার্তা বুঝতে পারে সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। পুরো বার্তাকে ছোট ছোট বাক্যে ভাগ করে সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে। যেমন: ঘূর্ণিঝড় আসছে! সবাই বাড়ির বাইরে বের হয়ে আসুন। সবাইকে সাইক্লোন সেন্টারে যেতে হবে। এখনই যেতে হবে।
- নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রবীণ ব্যক্তি এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থাগুলোর একটি তালিকা তৈরি এলাকাবাসীদের মধ্যে বিতরণ করুন।
- তথ্য প্রদান, সভা করা এবং রেফারেল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে, অস্থায়ী ত্রাণ শিবির, ক্যাম্প কিংবা জনসাধারণকে একত্রিত করার স্থানগুলোতে একটি "প্রবীণ/বার্ধক্য ও প্রতিবন্ধী ফোকাল পয়েন্ট (এডিএফপি) স্থাপন করা যেতে পারে। সেখানে উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী বা স্বেচ্ছাসেবী নিযুক্ত করতে হবে। ফোকাল পয়েন্ট প্রয়োজনীয় সুনির্দিষ্ট সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতার সাথে যোগসূত্র তৈরির কাজ করবে, যেমন সহায়ক প্রযুক্তি, পুনর্বাসন বা মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোসামাজিক সহায়তা।