ডিআরআর কর্মসূচির নকশা, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে অংশগ্রহণ অপরিহার্য এবং সংশ্লিষ্ট নীতি ও আইনী কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিরা প্রায়শই তাদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে।
প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনসমূহ:
- ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিদের নেতৃত্বে, নির্দেশনায় এবং তাদের দ্বারা পরিচালিত হয়।
- ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত।
- ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষাকারী সংশ্লিষ্ট নীতি কাঠামোতে স্বীকৃত নীতি ও অধিকারগুলোর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও সম্পূর্ণরূপে শ্রদ্ধাশীল।
- প্রধানত ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য সমষ্টিগতভাবে কাজ করতে, তাদের বিষয়গুলো তুলে ধরতে, তাদের মর্যাদা বৃদ্ধিতে, তাদের দরকারি বিষয়গুলো নিয়ে লেগে থাকতে এবং/অথবা তাদের অধিকার রক্ষা করতে এই ধরনের সংগঠনগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়।
- এক বা একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
- এই ধরনের সংগঠনগুলো কাজের ক্ষেত্রের বিবেচনায় স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক কিংবা আন্তর্জাতিক হতে পারে।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন (ডিপিও) হলো তাদের সদস্যদের অধিকার ও স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত সংগঠন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সনদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডিপিওগুলোতে প্রতিবন্ধী সদস্যদের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে এবং তাদের একটি পরিচালনা বোর্ড রয়েছে। বোর্ডের বেশিরভাগ সদস্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। কিছু কিছু ডিপিও সকল ধরনের প্রতিবন্ধীদের প্রতিনিধিত্ব করে; আবার কোন কোন ডিপিও শুধুই সুনির্দিষ্ট ধরনের প্রতিবন্ধিতা, জেন্ডার, খাতভিত্তিক সমস্যা কিংবা কোন একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার (স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক) প্রতিনিধিত্ব করে। যেখানে কোন ধরনের আনুষ্ঠানিক ডিপিও নেই, সেখানে হয়তো স্ব-সহায়ক দল (সেল্ফ-হেল্প গ্রুপ) কিংবা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধী অধিকার কর্মীদের অনানুষ্ঠানিক নেটওয়ার্ক থাকতে পারে। ডিপিও-দের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক রয়েছে যা তাদের আঞ্চলিক ও জাতীয় ডিপিও সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে, যেমন: ইন্টারন্যাশনাল ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যালায়েন্স বা আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধিতা জোট।
নারী প্রতিবন্ধীরা জেন্ডার বৈষম্য ও প্রতিবন্ধিতাকে ঘিরে অপবাদের মুখোমুখি হয় এবং তারা দুর্যোগ চলাকালে এবং দুর্যোগের পরে প্রায়শ নিজেদেরকে প্রান্তিক ও ঝুঁকির মধ্যে দেখতে পায়। তারা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংগঠিত হতে শুরু করে কিংবা পাশাপাশি নারীদের সংগঠনগুলোকে সংগঠিত হতে শুরু করে।
প্রবীণ ব্যক্তিরা ক্রমবর্ধমানভাবে নিজেদেরকে নেটওয়ার্ক ও অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে সংগঠিত হতে শুরু করেছে এবং তাদের সংগঠনগুলোকে প্রবীণ ব্যক্তিদের সমিতি নামে ডাকা হয়। এই ধরনের সংগঠনগুলোতে সাধারণত বেশিরভাগ সদস্য প্রবীণ নারী কিংবা পুরুষ এবং তারা তাদের সদস্যদের ও সাধারণভাবে প্রবীণ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অধিকারকে তুলে ধরে।
কীভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ করা যাবে?
আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থাগুলোর সদর দপ্তরের সাথে আগেভাগে যোগাযোগ করুন, কারণ তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট দেশ ও সেখানে কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে সেই তথ্য সহজলভ্য হতে পারে। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থাগুলো প্রাসঙ্গিক জাতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে নিবন্ধিত হতে পারে বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে নিবন্ধিত হতে পারে। প্রতিবন্ধিতা ও সুনির্দিষ্ট বয়স নিয়ে কর্মরত এনজিওগুলো আপনাকে এই জাতীয় সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করে দিতে পারে।