সাধারণ বাধাসমূহ
বাধাগুলো হলো প্রতিবন্ধকতা যা ব্যক্তিকে একটি সমাজে পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখে। প্রতিবন্ধকতাগুলো পরিবেশগত, দৃষ্টিভঙ্গিগত কিংবা প্রতিষ্ঠানগত হতে পারে:
- পরিবেশগত বাধাগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ভৌত বা অবকাঠামোগত বাধাসমূহ, উদাহরণস্বরূপ স্কুলে কিংবা আশ্রয় শিবিরের নিবন্ধন কার্যক্রম চলে এমন স্থানে যদি শুধু সিড়ি থাকে এবং র্যাম্প এবং হাতল স্থাপন করা না হয়। আবার যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাধার ঘটনা ঘটে যখন কোন কোন ব্যক্তির জন্য তথ্য অপ্রবেশগম্য হয় (উদাহরণস্বরূপ অন্ধ কিংবা বধির, এমন মানুষ যিনি পড়তে জানেন না কিংবা শিখন প্রতিবন্ধী)।
- নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সাথে যুক্ত বাধাগুলো গতানুগতিক চিন্তাধারার ফলাফল হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ধারণা করে নেওয়া যে প্রতিবন্ধী নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার দরকার নেই। কারণ তাদেরকে 'অযৌন' হিসেবে বিবেচনা করা হয় কিংবা এমন ধারণা করা হয় যে প্রতিবন্ধী নারী কাজের বিনিময়ে নগদ অর্থ কার্যক্রমে অংশ নেবেন না কারণ তাদের প্রতিবন্ধিতা রয়েছে কিংবা তারা বয়স্ক বা প্রবীণ মানুষ।
- প্রতিষ্ঠানগত বাধাগুলো হলো নীতিমালা, পদ্ধতি, কিংবা পরিস্থিতিগত যা পদ্ধতিগতভাবে কোন কোন মানুষের অসুবিধা বা ক্ষতির কারণ হয়।
অনেক বাধা আছে যেগুলো দুর্যোগের আগে থেকেই ছিল। অন্যগুলো দুর্যোগ কিংবা মানবিক সহায়তায় সাড়া দিতে গিয়ে তৈরি হয়ে থাকতে পারে।
***কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য***
কিছু কিছু প্রতিবন্ধকতা বা বাধা ক্রমবর্ধমানভাবে কোভিড-১৯ মোকাবেলার সাথে যুক্ত হতে দেখা যাচ্ছে। একথা নিশ্চিত করুন, যে বাধাগুলো সাধারণত দেখতে পাওয়া যায় সেগুলোকে আপনার দলের সদস্যরা বিবেচনায় নিয়েছে: যোগাযোগ করার পদ্ধতি কী হবে চিন্তা করে ঠিক করুন এবং তাতে করে সবার কাছে তথ্য প্রবেশগম্য করা যাবে। যেহেতু আটকে থাকার সময়গুলোতে কমিউনিটিতে প্রবেশ করাটা জটিল হতে পারে, তাই এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি থাকতে হবে, যার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ও তাদের পরিচর্যাকারীদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি শিক্ষা রয়েছে। এছাড়াও মনে রাখুন যে, সঙ্কটকালীন সময়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্পর্কে কালিমা লেপন বা অপবাদ দেওয়া বাড়তে পারে। যেমন, কেউ কেউ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার ভয় থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবাযত্ন করতে অস্বীকার করতে পারে কিংবা কেউ মনে করতে পারে যে, একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বর্তমান পরিস্থিতিতে তার কাজ চালিয়ে নিতে পারবে না এবং তারা কতোটা ঝুঁকির মুখে আছে সেই সিদ্ধান্ত তারা নিজেরাই নিয়ে নেয়। ফলে নতুন অংশীদারিত্ব করার সময় অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা নিশ্চিত করতে হবে এবং এই কাজে ডিপিও বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
**************************