সার্বজনীন ডিজাইন নীতিমালা অনুসারে তৈরি করা ভবন, পণ্য, সেবা এবং পরিবেশ সকলের জন্য প্রবেশগম্য ও ব্যবহারযোগ্য। সার্বজনীন ডিজাইন নীতিমালায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে:
১. ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার: নকশা এমনভাবে করা হয় যা বিভিন্ন ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষের জন্য দরকারি ও কার্যকর।
২. ব্যবহারে নমনীয়তা: নকশাগুলো এমনভাবে করা হয় যে, আলাদা আলাদাভাবে স্বতন্ত্র ব্যক্তির পছন্দগুলোও এখানে সমন্বয় করা হয় বা নকশার মধ্যে থাকে।
৩. সহজ ও স্বাভাবিক ব্যবহার: নকশাগুলো এমনভাবে করা হয় যে, সেগুলো সহজেই বোঝা যায়; ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, ভাষা দক্ষতা কিংবা শিক্ষার স্তর নির্বিশেষে সকলেই সহজেই এই নকশাগুলো বুঝতে পারে।
৪. অনুধাবনযোগ্য তথ্য: ব্যবহারকারীর সংবেদনশীলতা বা চারপাশের পরিবেশ নির্বিশেষে নকশাটি ব্যবহারকারীর কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য কার্যকরভাবে পৌঁছে দেয়।
৫. ত্রুটির ক্ষেত্রে সহনশীলতা: সার্বজনীন নকশা এমনভাবে করা হয় যে এই নকশার কারণে বিপদ, দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতি বা অনিচ্ছাকৃত ঘটনার বিরূপ পরিণতি কমায়।
৬. কম শারীরিক প্রচেষ্টা: এই ধরনের নকশা দক্ষতার সাথে ও আরামদায়কভাবে ব্যবহার করা যায় এবং এতে অবসাদ বা ক্লান্তিও কম হয়।
৭. প্রবেশপথের আকার ও জায়গা: প্রবেশপথের জন্য উপযুক্ত আকার ও জায়গা রাখা হয় যাতে করে ব্যবহারকারীর শরীরের আকৃতি নির্বিশেষে সকলেই তাদের শরীরের আকার, অঙ্গভঙ্গি এবং/অথবা তাদের চলাচলের ধরন নির্বিশেষে প্রবেশপথের কাছে পৌঁছাতে পারেন, প্রবেশপথে প্রবেশ করতে পারেন।
সার্বজনীন ডিজাইনের নীতিমালা "প্রবেশগম্য নকশা" এবং "বাধামুক্ত নকশা" দু'টি ধারণার চেয়েও ব্যাপকতর।