একটি শৌচাগার বা ওয়াশরুম নিরাপদ ও প্রবেশগম্য করার নির্দিষ্ট কোন ধরন নেই, যে বলা হবে এভাবে করতেই হবে। কতগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যেমন, ওয়াশরুমের পরিবেশ, যেখানে তৈরি করা হবে সেই সমাজ ও দেশের প্রেক্ষাপট, সেখানকার মানুষ স্বাস্থ্যবিধি পালনে কী ধরনের অভ্যাস মেনে চলেন (যেমন আমাদের দেশের মানুষ টয়লেটে পানি এবং পানির জন্য বদনা ব্যবহার করে) এবং ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা। এই বিষয়গুলোর ভিত্তিতে ওয়াশরুম তৈরি ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে।
ওয়াশরুম কিংবা গোসল করার জায়গাতে নারী ও মেয়ে শিশু, বয়স্ক/প্রবীণ ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সর্বোচ্চ গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এ লক্ষ্যে একই লিঙ্গ পরিচয়ের মানুষদের নিয়ে ফোকাস গ্রুপ আলোচনা করে তাদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি চর্চা, সুনির্দিষ্ট চাহিদা ও অগ্রাধিকারগুলো জেনে নেওয়া যেতে পারে।
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ওয়াশরুমের কমপক্ষে ১০% ওয়াশরুম প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য পুরোপুরি প্রবেশগম্য হতে হবে, সেখানে সুস্পষ্টভাবে চিহ্ন বা প্রতীক লাগাতে হবে এবং এই ওয়াশরুমগুলো ক্যাম্প বা আশ্রয় শিবিরে থাকা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত থাকতে হবে কিংবা স্বতন্ত্র ব্যক্তির আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ১৫ মিটার দূরত্বের মধ্যে থাকতে হবে:
একটি নিরাপদ ও প্রবেশগম্য ওয়াশরুমের জন্য যা করতে হবে:
ওয়াশরুমের প্রবেশপথ হুইলচেয়ার নিয়ে প্রবেশ করার জন্য যথেষ্ট প্রশস্ত (কমপক্ষে ৯০ সেন্টিমিটার) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে র্যাম্প লাগানো।
ওয়াশরুমকে সুস্পষ্ট চিহ্ন বা প্রতীক দিয়ে চেনানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তাতে বৈসাদৃশ্য রং লাগানো হয়েছে।
এটি নিশ্চিত করুন যে ওয়াশরুমের মধ্যে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীর হুইলচেয়ার ঘোরানোর মতো (ন্যূনতম ১৫০ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধ)।
সহজে নিজেকে ধৌত করা ও গোসল করার জন্য গোসলের বেঞ্চ এবং হুইলচেয়ার থেকে ধৌত করার ব্যবস্থা যাওয়ার এবং আবার হুইলচেয়ারে ফেরত আসার সুবিধার্থে ও ভারসাম্য রাখার জন্য হ্যান্ডরেইল লাগানো রয়েছে।
পর্যাপ্ত আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা রয়েছে। এবং আলো বাতাসের জন্য তৈরি করা জানালা কিংবা ফাঁকা জায়গাটি এতোটা উচুঁতে অবস্থিত যে বাইরে থেকে কেউ ভেতরে সহজে উকিঁ দিতে পারবে না।
মেঝে শক্ত, মজবুত, পিচ্ছিল নয় এবং শাওয়ারের ভেতরে কোন ধরনের বস্তু রাখা হয়নি যা চলাচলে বাধা তৈরি করে।