দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাস পরীবিক্ষন করার জন্য সেনডাই কাঠামো (সেনডাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন মনিটর) ব্যবহার করে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সকল দেশ দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের ক্ষেত্রে কতোটা অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছে তা পরিমাপ করা হবে। এতে মোট ৩৮টি নির্দেশক রয়েছে যার মাধ্যমে কাঠামোর সাতটি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অগ্রগতি দেখা যায় এবং ঝুঁকি হ্রাস ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমানের গতিধারা নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
বৈশ্বিক কাঠামো লক্ষ্যমাত্রা ২০১৫-২০৩০:
হ্রাস:
- দুর্যোগে মৃত্যুহার
- দুর্যোগ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ
- বৈশ্বিক জিডিপি এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট নির্দেশকসমূহের সাথে সম্পর্কিত দুর্যোগের প্রত্যক্ষ অর্থনৈতিক ক্ষতি
- দুর্যোগের কারণে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ক্ষতি এবং মৌলিক সেবা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি হওয়া।
বৃদ্ধি:
- দেশগুলোতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের জন্য দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কর্মকৌশল থাকা
- উন্নয়নশীল দেশগুলোর জাতীয় কর্মপরিকল্পনার পরিপূরক হিসেবে পর্যাপ্ত ও টেকসইভাবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা করা
- বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ ও আপদ সম্পর্কে আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা এবং দুর্যোগের ঝুঁকি সংক্রান্ত তথ্য ও মূল্যায়ন সহজলভ্য করা এবং এই ধরনের তথ্য ব্যবস্থায় সকলের প্রবেশগম্যতা যাতে থাকে তা নিশ্চিত করা
প্রতিটি লক্ষ্যের সাথে নির্দেশক যুক্ত রয়েছে, যার ভিত্তিতে সেনডাই কাঠামোর লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে কিনা সেটা বোঝা যাবে এবং ঝুঁকি হ্রাস ও ক্ষয়ক্ষতির বৈশ্বিক গতিধারা নির্ণয় করা যাবে।
প্রতিবন্ধিতা ও উপাত্ত সম্পর্কে মনিটরিং কী বলছে:
মনিটরিং টুল প্রতিবন্ধিতার অন্তর্ভুক্তিকরণের মূল্যায়ন এবং দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাস উদ্যোগগুলোতে পূর্ণ অন্তর্ভুক্তিকরণের অগ্রগতি নিরূপণ করা যেতে পারে। এতে মূল বিবেচ্য বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি এর মাধ্যমে নিচের ৪টি প্রধান ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিকরণ মূল্যায়ন ও মান নির্ধারণ করা হয়েছে:
১. সচেতনতা
২. প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রতিনিধিত্ব
৩. ঝুঁকি বোঝা ও তাতে সাড়া দেয়া
৪. বাস্তবায়ন
মূল পয়েন্টগুলোর মান নির্ধারণের জন্য একটি টেমপ্লেট ডিজঅ্যাবিলিটি ইনক্লুসন অ্যান্ড ডিজাস্টার রিস্ক: প্রিন্সিপালস অ্যান্ড গাইডেন্স ফর ইমপ্লিমেন্টিং দি সেনডাই ফ্রেমওয়ার্ক বইয়ের ৯০-৯৫ পৃষ্ঠাতে পাওয়া যাবে (নিচে সূত্র দেখুন)