বিপদের বা দুর্যোগের ভৌগোলিক চিত্র তৈরির সময় অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে যে প্রধান বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে:
- বর্তমানের ভৌগোলিক অবস্থা এবং ভূমির যে কাঠামো বিবেচনায় রাখতে হবে; কারণ সেখানে অনেক ধরনের ভৌত অবকাঠামোগত বাধা থাকতে পারে। যেমন: ঢাল, ঢালু হওয়া পথ, সিড়ি, উচুঁনিচু পথ, সাজানো স্থানের কারণে বিভিন্ন ধরনের বস্তু ইত্যাদি। এই ধরনের বাধাগুলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং সীমিত চলাচল আছে এমন ব্যক্তিদের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে জরুরি পরিস্থিতিতে। উদাহরণস্বরূপ ঘরবাড়ি ছেড়ে দ্রুত অপসারণ বা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া অনিরাপদ করে তুলতে পারে।
- সাইনেজ (প্রতীক), মানচিত্র এবং অডিও বার্তা বা তথ্য যদি একটি মাত্র উপায়ে সহজলভ্য করা হয় তাহলে সেটা বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুনির্দিষ্ট চাহিদা পূরণ করতে পারবে না; যেমন শ্রবণ প্রতিবন্ধী, অন্ধ ব্যক্তি কিংবা মনোসামাজিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাহিদা পূরণ করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে যাদের কাছে তথ্য পৌঁছাবে না তারা সময়মতো জীবনরক্ষাকারী তথ্য পাবে না।
- আরো বিবেচনায় রাখুন যে যে এলাকাগুলোতে ভূমিধ্বসের মতো ঘটনা ঘটে সেখানকার মানুষেরা বিশেষত যাদের চলাচলে বাধা আছে বা যারা চলন প্রতিবন্ধী তাদের জন্য সমস্যা হতে পারে। অপ্রবেশগম্য পথের কারণে তাদেরকে জরুরি পরিস্থিতিতে সময় মতো নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া কঠিন হতে পারে। নদীর ধারে, উচুঁ পাহাড়ে থাকা ব্যক্তিগত ও সরকারি কাঠামোতে বসবাসকারী মানুষের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য।
- চলন প্রতিবন্ধী এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কাছ থেকে জেনে নিন যে তারা জরুরি পরিস্থিতিতে অপসারণ কেন্দ্র বা আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ঠিক পথের কোন ধরনের বাধাগুলোর অপসারণ চায় কিংবা কী ধরনের পরিবর্তন চায় যা তাদের চলার পথকে সুগম বা বাধামুক্ত করবে। এ লক্ষ্যে ট্রানসেক্ট হাঁটা এর মাধ্যমে এলাকা জেনে নিতে পারেন।