কমিউনিটির সদস্যদের যদি ভূমিতে নিশ্চিত দখলদারিত্ব না থাকে তাহলে তাদের দুর্যোগের প্রতিকূল প্রভাব দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কারণ একদিকে তারা ভূমি বা জমিতে তাদের প্রবেশাধিকার হারায় এবং তারা ওই জমিতে তাদের পূর্বের জীবিকা নির্বাহের ক্ষমতা হারায়। এমন অধিকার হারানো জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায়শ যারা অন্তর্ভুক্ত থাকে তারা হলেন: নারী, প্রবীণ ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে দরিদ্র আদিবাসী জনগোষ্ঠী। তারা প্রায়শ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাস করে এবং সেখানেই তারা জীবিকা নির্বাহ করে। এর মধ্যে রয়েছে আগ্নেয়গিরি, বন উজাড় করা পর্বত, নদীর তলদেশ, বন্যা বা প্লাবনযুক্ত নিম্নভূমি এবং উপকূলীয় অঞ্চল।
ভূমি ব্যবহার ও মালিকানার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে অভিঘাতসহনশীলতা তৈরি করতে:
- যেখানে সম্ভব ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থাগুলোর সাথে কাজ করা, যেমন: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন, নারীদের সংগঠন, আদিবাসীদের নেটওয়ার্ক ইত্যাদি, যাতে তারা তাদের ভূমির মালিকানার অধিকার দাবী করে এবং তাদের ভূমির দখলদারিত্বের অধিকার সুরক্ষিত হয়।
- ভূমির প্রশাসনে খানা বা পরিবার এবং জনগোষ্ঠী বা এলাকাবাসীর পরিবর্তিত ভূমিকা বিবেচনা করুন যাতে করে ভূমিতে জেন্ডার ও প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবেশগম্যতার উন্নতি ঘটানো যায়। বিশেষভাবে নজর দিতে হবে প্রতিবন্ধী নারীদের প্রতি কারণ তারা উত্তরাধিকারের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
- ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর বৃহত্তর পরামর্শ গ্রহণ এবং তাদেরকে সম্পৃক্ত করা নিশ্চিত করুন এবং এমনভাবে পরিবেশ গড়ে তুলুন যাতে করে প্রাকৃতিক বিপদের সংস্পর্শে আসা ও ঝুঁকি থেকে তারা নিরাপদ থাকে এবং যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটবে তখন পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের সামর্থ্য বাড়বে এবং তারা এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে পুনরুদ্ধার করতে পারবে।
- আয়/জীবিকায় বৈচিত্র্য আনার জন্য প্রতিবন্ধী নারী ও পুরুষদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করুন এবং তাদের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা দিন।
- বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কৃষি সম্প্রসারণমূলক কাজ ও প্রশিক্ষণ প্রবেশগম্য করা।
- বিপদগ্রস্ত এলাকা থেকে আসা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসিত হওয়র জন্য সহযোগিতা করা। যেখানে পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে না সেখানে আবাসন বা ভূমির উন্নয়নের জন্য সরঞ্জাম ও প্রণোদনা দেওয়া।