প্রধান পরিবেশগত সমস্যা যেমন বন উজাড় করা এবং নদী ভাঙ্গনের ঘটনা প্রায়শ ঘটে থাকে পরিবেশগত সচেতনতা এবং ঝুঁকির বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা না থাকার পাশাপাশি ব্যবসায়িক লাভের কারণে, যা ঠেকানো খুবই কঠিন। এই ধরনের কর্মকান্ডের ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হন তাদের মধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রবীণ ব্যক্তি, নারী, জাতিগত সংখ্যালঘু এবং আদিবাসী সম্প্রদায়গুলো রয়েছে, যারা আবার প্রায়শ ক্ষতিগ্রস্ত হন। এই অবস্থায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সৃনির্দিষ্টভাবে গৃহীত পদক্ষেপে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার যাতে করে তাদের মধ্যে অভিঘাতসহনশীলতা গড়ে উঠে।
অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়সমূহ:
-
সচেতনতা তৈরির পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম অংশগ্রহণমূলক এবং প্রবেশগম্য হতে হবে।
-
পরিবেশগত সচেতনতা এবং দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাস তথ্য, যোগাযোগ এবং সেবাগুলো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও বধির ব্যক্তি এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এবং মনোসামাজিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহ সকল ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য প্রবেশগম্য করতে হবে।
-
টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা ও কৃষি কাজে সংরক্ষণ অনুশীলনসহ ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন।
-
দুর্যোগের প্রকৃত ক্ষতি রোধ বা হ্রাস করতে সমাধানের উপায়গুলো যেমন জোনিং করা, ভূমি-ব্যবহার অনুশীলন এবং বিল্ডিং কোড মেনে চলার জন্য করণীয় ঠিক করতে প্রতিনিধিত্বমূলক সংগঠন কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সাথে পরামর্শ করুন।