পরিবহন
দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাস পরিকল্পনা ও স্থানান্তরের পথ ডিজাইন করার সময় এটি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ যে কীভাবে বিভিন্ন চাহিদা ও ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা কীভাবে পরিবেশ ব্যবহার করবে যার মধ্যে পরিবহন ও চলাচলের সাথে তাদের নিরাপত্তার বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সকল ধরনের সেবা ও সুযোগ-সুবিধাগুলো প্রত্যেকের কাছে সহজে পৌঁছানোর ব্যবস্থা থাকা দরকার।
- জরুরি পরিস্থিতিতে কমিউনিটির বাইরে অবস্থিত সেবাগুলোতে যাতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রবীণ ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী ও পরিবারের ছোট ছোট ছেলেমেয়েসহ সীমিত চলাচলের ব্যক্তিদের চাহিদাগুলো আগে চিহ্নিত করুন।
- জরুরি পরিস্থিতিতে স্থানান্তরের কাজে ব্যবহৃত পরিবহন ব্যবস্থা যেন প্রবেশগম্য হয় এবং প্রত্যেকের কাছে সহজলভ্য হয়। যেখানে দরকার হবে পরিবহনের সহায়তা দিতে হবে (অর্থাত্ অভিযোজিত যানবাহন, চলাচলে কর্মীদের সহায়তা, আর্থিক সহায়তা ইত্যাদি)।
- নারী ও মেয়ে শিশুরা যাতে নিরাপদে চলতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য তাদের সঙ্গে কারো দরকার হতে পারে।
- জরুরি সহায়তা দিতে বিতরণ পয়েন্ট বা কেন্দ্র নির্বাচন করার সময় এটি নিশ্চিত করুন যে সেখানে পৌঁছানো সহজ এবং এই ধরনের কেন্দ্র নির্বাচনকালে সর্বোত্তম কেন্দ্র নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করুন।
- সরকারি বা গণ পরিবহন যখন সহজলভ্য ও প্রবেশগম্য তখন খোঁজ নিয়ে দেখুন যে গণপরিবহণগুলো এই পয়েন্টগুলোতে থামে কিনা? যেমন: বিতরণ কেন্দ্র এবং পানির স্থান, স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র, সংগ্রহ কেন্দ্র, এটিএম কিংবা অন্য কোন পয়েন্ট অফ সেল টার্নিমাল, স্কুল, মার্কেট ইত্যাদি।
- নগদ অর্থ হস্তান্তরের সময় পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত খরচ বিবেচনা করুন যা চলাচলে সীমাবদ্ধতা আছে এমন মানুষদের জন্য খরচ হবে (যেমন: বাজারে যাওয়ার জন্য গণ পরিবহণের পরিবর্তে স্বতন্ত্র পরিবহন)।
- কমিউনিটি সভাগুলো, ডিআরআর কমিটি কিংবা কমিউনিটি পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রবেশগম্য পরিবহন ব্যবস্থা থাকা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে করে প্রত্যেকে সভাস্থলে নিরাপদে ও কোন ধরনের বাধা ছাড়াই পৌঁছাতে পারে।
পরিবহন প্রবেশগম্য যখন:
- স্টেশন/প্রস্থানের স্থান প্রবেশগম্য।
- যাত্রীদের প্রবেশগম্য ও বোধগম্যভাবে তথ্য দেয়া হয়।
- পরিবহনে প্রবেশ করাটা প্রবেশগম্য।
- যানবাহনের অভ্যন্তর প্রবেশগম্য ও নিরাপদ এবং নিজেকে বা অন্যকে বিপদগ্রস্ত না করেই যানবাহনের মধ্যে চলাচল করা সম্ভব।