দুর্যোগর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত তথ্য ও বার্তা যাতে বাস্তবে কার্যকর হয় এবং আচরণ পরিবর্তনে ভূমিকা পালন করতে পারে, সে লক্ষ্যে তথ্য ও বার্তা কমিউনিটি/এলাকার বাসিন্দা প্রত্যেকের কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে এবং সেই তথ্য এমন হতে হবে যাতে প্রত্যেকে বুঝতে পারে। তাই তথ্য প্রদানকালে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধিতা ও বয়স গ্রুপের এবং ভাষাগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রাখতে হবে। একথা মনে রাখতে হবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা যেন বার্তা সরাসরি পায়। তাদেরকে বার্তা দেওয়ার জন্য কোনমতেই তাদের পরিবারের সদস্য, পরিচর্যাকারী কিংবা প্রতিবেশীদের উপর নির্ভর করা যাবে না।
কমিউনিটিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন করার জন্য প্রধান যে বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে:
- তথ্য দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায়গুলো ব্যবহার করা নিশ্চিত করতে হবে যেমন এসএমএস, রেডিও, টেলিভিশন, লিফলেট, পোস্টার, পথ নাটক, কমিউনিটি সভা কিংবা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবীগণ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বার্তা পৌঁছে দেবেন।
- বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যাতে বার্তা বুঝতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য বার্তাতে ছবি ও সহজ ভাষা ব্যবহার করতে হবে।
- সভা/সমাবেশ আয়োজন করা হলে অবশ্যই প্রবেশগম্য সভাস্থল নির্ধারণ করতে হবে প্রত্যেকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য বৈচিত্র্যপূর্ণ/বিভিন্ন উপায়ের যোগাযোগ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
- দুর্যোগে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রবীণ ব্যক্তি ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হ্রাস এবং তাদেরকে অপবাদ বা কালিমা লেপন দূর করতে সমাজের সাধারণ মানুষদের জন্য সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করে তাদেরকে জানানো যে, দুর্যোগ কীভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রবীণ ব্যক্তি এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মানুষদের আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং কেন তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন।
- কমিউনিটি সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম পরিকল্পনা করার সময় বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনগুলোর সাথে পরামর্শ করতে হবে এবং তাদেরকে কার্যক্রম বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত করতে হবে।