বিতরণ করা
অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রবেশগম্যভাবে জরুরি ত্রাণ বিতরণ করার জন্য:
- কমিউনিটির বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী এর অন্তর্ভুক্ত স্বতন্ত্র ব্যক্তি কিংবা তাদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে যৌথভাবে পরিকল্পনা করুন।
- পরিকল্পনা জনসংখ্যার অসমষ্টিগত ডেটা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক চাহিদা নিরূপণের মাধ্যমে করতে হবে।
- সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে লক্ষ্য করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
- বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ঘোষণা দিতে হবে যাতে করে কমিউনিটির প্রত্যেকেই জানতে পারে। এ জন্য যে সকল মাধ্যম ব্যবহার করা হবে সেগুলো প্রবেশগম্য হতে হবে যেমন: মোবাইল ফোন, মেগাফোন/লাউডস্পিকারে ঘোষণা, রেডিও, ব্রেইল পদ্ধতিতে মুদ্রণ, কমিউনিটি সভা, এবং কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে তথ্য জানাতে হবে।
- বিতরণ কেন্দ্র হতে হবে প্রবেশগম্য, নিরাপদ ও সহজে পৌঁছানো সম্ভব একটি স্থান। বিতরণ স্থান অবশ্যই সমতল ও বাধামুক্ত হতে হবে। সেখানে কীভাবে পৌঁছাতে হবে সেটা চিহ্ন দ্বারা পথ নির্দেশ থাকতে হবে।
- বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে জীবন রক্ষাকারী জরুরি জিনিসপত্র বিতরণ করতে হবে; যেমন: ঔষধ, বিশেষ খাদ্য চাহিদা আছে এমন ব্যক্তিদের তাদের চাহিদা মোতাবেক খাবার সরবরাহ, প্রবীণ ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং শয্যাশায়ী ব্যক্তিদের জন্য বাড়তি কম্বল ইত্যাদি। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সাথে আগেভাগে পরামর্শ করুন যাতে করে জরুরি ত্রাণের সরবরাহের মজুদ যথাসময়ে গড়ে তোলা যায়।
- যারা চলন প্রতিবন্ধী কিংবা চলাচলে সীমাবদ্ধতা রয়েছে কিংবা যাদের পক্ষে ত্রাণের জিনিসপত্র বহন করে দূরে নেওয়া সম্ভব নয় তাদেরকে বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য পরিবহন ব্যবস্থা রাখুন।
- প্রবীণ ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, গর্ভবতী এবং যাদের পক্ষে দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন তাদের জন্য চেয়ার, ছায়াযুক্ত স্থান এবং অগ্রাধিকার লাইন রাখুন।
- অপেক্ষমান মানুষদের জন্য প্রবেশগম্য লেট্রিন এবং পানি-র ব্যবস্থা করুন।
- ত্রাণ বিতরণ স্থানের উপর ভিত্তি করে বিতরণ কেন্দ্র ও লেট্রিনের মধ্যেকার পথে একটি দড়ি দিতে হবে যাতে করে অন্ধ ব্যক্তি এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা যায়।
- পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সকল কার্যক্রমে মহড়া ও অনুশীলনে নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, শিশু, প্রবীণ ব্যক্তি ও বিভিন্ন ধরনের অন্যান্য ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত রাখুন।