দুর্যোগে অভিঘাতসহনশীল জীবিকার উন্নয়নে কর্মসূচি প্রণয়নকালে এলাকার নারী, প্রতিবন্ধী, প্রবীণ ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সমান গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিতে হবে। অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন অন্তর্ভুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
জীবিকার উন্নয়ন কর্মসূচি অন্তর্ভুক্তিমূলক করা নিশ্চিত করতে টুইন-ট্র্যাক পদ্ধতি ব্যবহার করুন। এটি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী-কে সহায়তা করার পাশাপাশি জীবিকা-সংশ্লিষ্ট সেবা, প্রক্রিয়া ও নীতিমালা জুড়ে মূলধারায় প্রবেশগম্যতা ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে:
- বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মানুষদের সম্ভাব্য জীবিকাকেন্দ্রিক কার্যক্রমে, বাজারে, আর্থিক সেবায় এবং বীমা, সামাজিক সুরক্ষা ও অন্যান্য সরকারি সেবায় প্রবেশগম্যতার ক্ষেত্রে বাধাগুলো চিহ্নিত করতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গি এবং বৈষম্যমূলক নীতি ও অনুশীলনগুলো যা শারীরিক বাধাগুলোর মতোই প্রবেশগম্যতাকে বাধাগ্রস্ত সেগুলোও বিবেচনা করুন।
- জীবিকা সহায়তা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের বাধা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরিকল্পনা ও বাজেট রাখুন। উদাহরণস্বরূপ স্থান ও তথ্য উপকরণে প্রবেশগম্যতা, প্রবেশগম্য পরিবহণ ব্যবস্থা এবং শিশু যত্ন কিংবা কর্মীদের সংবেদনশীলতার বিষয়গুলো বিবেচনা করুন।
- যারা বধির বা কম শুনতে পায়, বুদ্ধিবৃত্তিক কিংবা মনোসামাজিক প্রতিবন্ধী এবং নারী ও মেয়ে শিশু প্রতিবন্ধীসহ পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।
- কর্মসূচি বাস্তবায়নে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থাগুলোকে জড়িত করুন।
- ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য দেয়া জীবিকা সহায়তা কার্যক্রমের প্রভাব মনিটর করার জন্য পৃথকীকরণকৃত ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় টুলস ও দক্ষতার উন্নয়ন ও ব্যবহার করুন।
কৃষি, পশুসম্পদ এবং মত্স্যভিত্তিক জীবিকা কর্মসূচি বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার জন্য সংশ্লিষ্ট কার্ডগুলো পড়ুন।