টেকসই মত্স্য ব্যবস্থাপনার জন্য নারী, প্রতিবন্ধী, প্রবীণ ব্যক্তি এবং অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্যদের অন্যদের সাথে সমতার ভিত্তিতে মত্স্য ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত করার দরকার রয়েছে এবং এর মাধ্যমে পুরো কমিউনিটির জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তার উন্নতি ঘটে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক মত্স্য চাষ এবং জলজ-চাষভিত্তিক জীবিকা বাস্তবায়নে নিচের কাজগুলো করতে হবে:
- কমিউনিটির অবকাঠামো, পরিবার/খানা এবং স্বতন্ত্র ব্যক্তি যারা উপকূলীয় এলাকায় মাছ ও জলজ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত তাদের অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে জানতে ম্যাপিং করা এবং কমিউনিটিতে থাকা সামাজিকভাবে উপেক্ষিত জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করা যারা বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে থাকতে পারে।
- মত্স্য খাতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী যে ধরনের বাধার সম্মুখীন হয় সেগুলো বিশ্লেষণ করা এবং এই ধরনের বাধাগুলো কাটিয়ে উঠতে তাদেরকে স্বতন্ত্রভাবে সহায়তা দেয়া। যেমন, মত্স্য-সংক্রান্ত কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়াকে সহায়তা করার জন্য প্রতিবন্ধী এবং প্রবীণ ব্যক্তিদের সহায়ক প্রযুক্তি দেয়া।
- কার্যক্রমের নকশা জানাতে বিদ্যামন শক্তি, মোকাবেলা করার কৌশল ও ব্যবস্থা এবং উপকূলীয় কমিউনিটির ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী স্থানীয় কিংবা আদিবাসী জ্ঞানকে বিবেচনা করুন।
- দুর্যোগ প্রশমনের জন্য কী ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে তা উন্নয়নকালে নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং প্রবীণ ব্যক্তিদের দুর্যোগকালের সুনির্দিষ্ট চাহিদা ও ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করুন। উদাহরণস্বরূপ প্রবেশগম্য ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা গড়ে তুলুন।
- মত্স্য খাতে প্রতিবন্ধিতাকে মূলধারাকরণ করা। উদাহরণস্বরূপ পরিকল্পিত মত্স্য কর্মকান্ড সম্পর্কে কমিউনিটির সকল গ্রুপকে অবহিত করার জন্য যোগাযোগ ও তথ্য প্রচারের একাধিক উপায় ব্যবহার করুন।
- সকল ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য একটি নিরাপদ ও প্রবেশগম্য স্থানে সভা আয়োজন করুন।